খান মেহেদী : চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে জামাত শিবির ও বিএনপিরা ভয়াবহ এক আওয়ামীলীগ বিরোধী শক্তিরা নাড়াচাড়া দিয়ে উঠেছে।ঢাকার মাঠ ফাঁকা দেখে সরকার পতনের আন্দোলন করে ভয়াবহ হামলা ও নাশকতা চালায়।এতে দেশে সাধারণ জনগণ ও রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতির স্বীকার হয়।এই সময়ে ঢাকা দক্ষিণের যুবলীগের তৃণমূলের কর্মীরা সম্রাটের প্রয়জনীয়তা উপলব্ধি করেন।
মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ কর্মীরা বলেন সম্রাট ঢাকার রাজপথের রাজপুত্র কর্মীদের অভিভাবক তার ডাকে হাজারো কর্মী ছুটে আসে নিরদ্বিধায় কোন সংকোচ ছাড়াই ।আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে তার ভূমিকা ছিলো অনস্বীকার্য।যার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড ক্ষতিয়ান আওয়ামী লীগে ঢাকা দক্ষিণের সর্বত্রই।সংকটের সময় সম্রাটকে তলোয়ার হিসাবে ব্যাবহার হয় কিন্তু দলের সুসময়ে তাকে অবমূল্যায়ন ও ষড়যন্ত্রের স্বীকার হতে হয়।
২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন আসার পর শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন। এই সময় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।শেখ হাসিনার পক্ষে নেতাকর্মীদেরকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন। এভাবেই আস্তে আস্তে রাজনীতিতে তিনি একটি আলাদা বলয় তৈরি করেছেন। এমনকি নেতারাও তার উপর নানা বিষয়ে নির্ভরশীল ছিলেন। এই সম্রাটের এরকম পরিণতি হবে সেই সময় কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি।
ষড়যন্ত্রের স্বীকার একাধিক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন তাকে ঢাকার অনেক নেতারাই রাজপথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ই ২০১৯ সালে জেলে পাঠিয়ে দেয়।অন্যান্য নেতারা যখন দুর্নীতি করেন বা দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে যুক্ত হন, তখন তারা দলেও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন এবং দলের তৃণমূলের সঙ্গে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ক্ষেত্রে ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট দুঃসময়ে সময় আওয়ামী লীগের অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন।
মতিঝিল থানা ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি হাসান উদ্দিন জামাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আজ দল ক্ষমতায় আছে বলে রাজপথের লড়াকু নেতা সম্রাটকে দল থেকে ছুড়ে ফেলা হল। অথচ দলের দুঃসময়ে রাজপথে সম্রাটই নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন তার আর প্রয়োজন নেই। কারণ যদি রাজপথে বিরোধীরা কোনো সহিংসতায় নামে, তাহলে প্রশাসন দিয়ে মোকাবেলা করা যাবে। কিন্তু ক্ষমতা যদি একবার ফসকে যায়, তখন সম্রাটের মতো লড়াকুদের প্রয়োজন কতটুকু বোঝা যাবে।এখন কই সম্রাটের মতো ঢাকার রাজপথে বিরোধীদের আতঙ্ক জন্মাবে না।এখন আমরা অনুভব করি আজ সম্রাট ভাই থাকলে যাত্রাবাড়ী সনিআখরা রামপুরা শাহবাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহিংসতা কোন দিন করার সুযোগ পেত না।
সুশীলদের’ সমালোচনা করে ওই নেতা বলেন, রাজপথের রাজনীতি সুশীল দিয়ে হয় না। যেসব সুশীলরা সম্রাটের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তারা দলের দুঃসময়ে কই আজ। রাজপথের রাজনীতিতে সম্রাটের মতো লড়াকু নেতা প্রয়োজন। আজ আমাদের খারাপ লাগছে ঢাকা মহানগরে কেমনে আওয়ামী লীগ এতোবছর ক্ষমতায় থাকা সত্বেও নিয়ন্ত্রিত নয়?
তাদের ভাষ্য, সম্রাট দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। দলের দুঃসময়ে, আন্দোলন-সংগ্রামে বুক চিতিয়ে রাজপথে থাকেন এই নেতা।এবারতো নেত্রী দেখছেন কারা কী রকম নেতা আশা করি আমরা নেত্রী আবার কর্মী বান্ধব নেতা ঢাকার রাজপথের বরপুত্র ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট কে সাংগঠনিক কার্যক্রম করার সুযোগ দিবেন
আপনার মতামত লিখুন :