গৌরনদীতে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতার সংবাদ সম্মেলন


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২, ২০২৪, ৯:৫৬ অপরাহ্ন /
গৌরনদীতে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতার সংবাদ সম্মেলন

গৌরনদী প্রতিনিধি,এ,এস,মামুন : চারভাগে বিভক্ত বরিশালের গৌরনদী উপজেলা বিএনপির দলীয় অভ্যন্তরীন বিরোধের জেরধরে কমিটির দায়িত্বশীল পদ থেকে বহিস্কার করানোর জন্য কৌশলে একটি পক্ষ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ট্রাক স্ট্যান্ড দখলের অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে থানায় সাধারণ ডায়েরীর পর বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে পুরো ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, গৌরনদী পৌর বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন শরীফ। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের স্থানীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর জাকির হোসেন শরীফ বলেন, এ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

লিখিত বক্তব্যে পৌর বিএনপির আহবায়ক জাকির শরীফ বলেন, বিভিন্ন ছদ্মনামের ফেসবুক আইডি থেকে বেশ কিছুদিন থেকে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কল্পকাহিনী লিখে পোস্ট করে দলের একটি পক্ষ সম্মানহানীর চেষ্টা করে আসছে। এরইমধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর (বরিশাল. নিউজ) নামের একটি ঠিকানাবিহীন অনলাইনে “গৌরনদী পৌর বিএনপির আহবায়ক জাকির শরীফের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, স্থানীয়রা আতঙ্কিত” শিরোনামে একটি মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত সংবাদে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের টরকী বন্দরের সুন্দরদী মহল্লার অমল পালের বক্তব্য ব্যবহার করা হয়েছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী অমল পাল বলেন, মনগড়া ওই সংবাদে আমার নাম ব্যবহার করা হলেও কোন সাংবাদিক কখনও আমার কাছে আসেননি এবং কোন বক্তব্য নেয়নি। প্রকৃতপক্ষে আমার নাম ব্যবহার করে পৌর বিএনপির আহবায়ক জাকির শরীফকে জড়িয়ে মিথ্যে মনগড়া তথ্য প্রচার করা হয়েছে। অমল পাল আরও বলেন, জাকির শরীফ কিংবা তার কোন লোক কখনও আমার কাছে চাঁদা দাবি করেননি কিংবা আমাকে মারধরও করেননি। সেখানে আমার নাম ব্যবহার করে জাকির শরীফ ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও মারধরের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।

লিখিত বক্তব্যে পৌর বিএনপির আহবায়ক জাকির শরীফ বলেন, প্রকাশিত সংবাদে আমার বিরুদ্ধে টরকী বন্দর ট্রাক স্ট্যান্ড অবৈধভাবে ইজারা ছাড়াই দখল করে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আদায় করার অভিযোগ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ট্রাক স্ট্যান্ডের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
তবে ট্রাক স্ট্যান্ডে ইজারা আদায়কারী ফরহাদ শরীফ বলেন, পৌরসভা থেকে ট্রাক ষ্ট্যান্ড ইজারা নেওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে আমরা তিনজনে পাঁচ লাখ টাকা ইজারা ক্রয় করে টাকা উত্তোলন করছি। বিষয়টি স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। এখানে জাকির শরীফের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

ট্রাক স্ট্যান্ডে টাকা উত্তোলন প্রসঙ্গে গৌরনদী পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের ডেকে ইজারার কাগজপত্র যাচাই করে নতুন নিয়মে (টোল আদায়ের পরিমান কমিয়ে) টাকা উত্তোলন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে জাকির শরীফ নামের কারও সম্পৃক্ততার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।