হাসনাত তুহিন ফেনী প্রতিনিধি:-ফেনীর পরশুরাম থানাধীন বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন এর দক্ষিণ কেতরাঙ্গা গ্রামের জসিম উদ্দিন এর মেয়ে ঝর্ণা আক্তার (১৫) কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে জানায় তার পরিবার।
গত ০৫/০৩/২০২৪ইং আনুমানিক দুপুর ১ ঘটিকার সময় ঝর্না পাশ্ববর্তী কলোনী থেকে দুধ নিয়ে আসার সময় পাশের বাড়ির ফাতেমাদের গাছের বাগানে আম কুড়াতে যায়,বাগানে ঝর্ণার বাবার চাচাতো ভাই আব্দুল মুনাফ (আলমগীর ২৪) ও ঝর্নার আপন চাচা (ওমর ফারুক ২৫) তার মুখ চেপে ধরে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বলে,যদি শারীরিক সম্পর্কে না রাজি হয় মেরে লাশ পেলে দেওয়ার হুমকি দেয়,ঝর্না রাজি না হওয়ায়, তাকে মাটিতে ধাক্কা দিয়ে পেলে তার শরীরের পরিহিত জামা কাপড় খুলে পেলে,সে চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার হাত পা চেপে ধরে পালাক্রমে দুই জনে ধর্ষন করে।তারপর তাকে চুপচাপ বাড়ি চলে যেতে বলে,এই বিষয় যদি কাউকে কিছু বলে তাহলে তাকে এবং তার পরিবারকে খুন করার হুমকি দেয় আলমগীর ও ফারুক।
এদিকে ঝর্না তার পরিবারের কথা ও লোক লজ্জার ভয়ে বাড়িতে এসে কাউকে কিছু বলেনি।
কিছুদিন পর ঝর্নার শারীরিক পরিবর্তন দেখলে তার পরিবার তাকে জিজ্ঞেস করে,এবং সে কান্নাকাটি করে পুরোপুরি বিষয় তার পরিবারকে জানায় এবং ধর্ষকের নাম প্রকাশ করে,পরে তার পরিবার গত ১৫/০৯/২০২৪ তারিখে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সে অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত হয় তার পরিবার।
এই বিষয় এ পরে এলাকার ইউপি সদস্য ও সামাজিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের জানালে তারা সামাজিক ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করে,এক পর্যায়ে তার সমাধানে ব্যর্থ হয়।
পরিশেষে ঝর্নার পিতা জসিম উদ্দিন বিবাদীদের বিরুদ্ধে পরশুরাম মডেল থানায় এজাহার দায়ের করে,পরে পরশুরাম মডেল থানার মামলা নং-০৬/৫১,তারিখ ২৫/০৯/২০২৪ইং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত /২০২০) ৯ (৩) রজু হয়।
মামলা রুজুর এক ঘন্টার মধ্যে পরশুরাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হাকিম এর নেতৃত্বে আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
আপনার মতামত লিখুন :