সুশীল আচার্য্য, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ- নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার মনসুরপুর গ্রামের অনিক মিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।নিরীহ এই তরুণকে গত ১৭ জুলাই নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তুচ্ছ একটি ঘটনার জেরে কয়েকজন বখাটে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও দুই মাস পার হয়ে গেছে, এখনও পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
এই মানববন্ধন কর্মসূচি (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- নিহত অনিকের বড় বোন নেত্রকোনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শেহাবির (শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়) মেধাবী ছাত্রী হাফসা ইসলাম মোহা। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রীতম সোহাগ, রাজীব মিয়া, রেজুয়ান জয়, সৌধ, নাফিউ, শামীম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী অনিক হত্যার দুই মাস হয়ে গেছে। অথচ আসামিরা নিজেদের মতো কাজকর্ম করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। গত দুই মাসে ৬ আসামির মধ্যে একজনও গ্রেফতার হয়নি। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দাবি করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বক্তারা।
নিহতের বোন হাফসা ইসলাম মোহ বলেন, গত ১৭ জুলাই প্রতিবেশীর পাটক্ষেতে আরেকজনের গরু প্রবেশ করে নষ্ট করছিল। এ সময় ক্ষেতের মালিক আমার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ভাই অনিককে বলে গরুটিকে খোয়াড়ে দিয়ে আসতে। খোয়াড়ে নেয়ার পথে সাকিব ও নাসির গরুটি অন্যত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে অনিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। সহজ-সরল অনিক গরুটিকে তাদের না দিয়ে নিকটবর্তী আমাদের এক আত্মীয়র বাড়িতে বেঁধে এসে গরুর মালিককে ঘটনা খুলে বলে।
এদিকে ঘটনা জানার পর আমি (হাফসা ইসলাম) বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ এলাকায় এলে সাকিব ও নাসিরের আত্মসম্মানে লাগে এবং গরুর মালিক অনিকের ওপর ক্ষিপ্ত হন কেন গরু খোয়াড়ে দিতে চেয়েছিল। গরুর মালিক শফিক ও তার ভাই সাইফুলসহ সাকিব, নাসির, রেজউদ্দিন ও অপু পরস্পরের যোগসাজশে অনিককে ডেকে নিয়ে রড দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে অনিকের মৃত্যু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :