চীনকে রুখতে জ্যামার বসাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৬, ২০২৫, ১২:৩৪ অপরাহ্ন /
চীনকে রুখতে জ্যামার বসাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প চীনের আধিপত্য রুখতে নানারকম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হচ্ছে ফের তেমনটিই করবেন ট্রাম্প।

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উপগ্রহ সিগন্যাল আটকানোর জন্য জ্যামার বসানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর সেটি হলে চীনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক যুদ্ধেও জড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্পেস র‍্যাপিড ক্যাপাবিলিটিস’ অফিসের ডিরেক্টর কেলি হ্যামেট এ নিয়ে বলেন, ‘রিমোট মডুলার টার্মিনাল (আরএমটি)’ নামে পরিচিত জ্যামার সিস্টেমটি ‘কিল চেন’ ব্যাহত করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ‘কিল চেন’ হল একটি সামরিক পদ্ধতি যা শত্রুদের আক্রমণের ছক চিহ্নিত করে।

হ্যামেট এ-ও জানিয়েছেন, জ্যামারের প্রাথমিক লক্ষ্য হল- চীনের নজরদারি উপগ্রহের নেটওয়ার্ক, বিশেষ করে ‘ইয়াওগান’ সিরিজের উপগ্রহগুলির সিগন্যাল আটকে দেওয়া। উপগ্রহের মাধ্যমে নজরদারির বিষয়ে চীনকে এক প্রকার ‘অন্ধ’ করে দেওয়াই এর লক্ষ্য।

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ‘স্পেস অপারেশনস কম্যান্ড’ জ্যামার বসানোর প্রথম পর্যায়ের অনুমোদন দিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ১১টি জ্যামার মোতায়েন করার কথা বলা হলেও এখন জানা যাচ্ছে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে মোট ২০০টি জ্যামার বসানোর পরিকল্পনা করেছে।

এর আগে, ২০২৩ সালে ‘ইয়াওগান-৪১’ নামে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে চীন। যার মাধ্যমে জমি জরিপ, পর্যবেক্ষণের মতো অসামরিক কাজের জন্যই এটি ব্যবহার করা হবে বলে দাবি ছিল চীনের। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছিল ‘ইয়াওগান-৪১’ এর সঙ্গে সামরিক কোনও সম্পর্ক নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ‘ইয়াওগান’ সিরিজের একাধিক উপগ্রহ সামরিক কাজে ব্যবহার করছে চীন।

এ ব্যাপারে মহাকাশ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উপগ্রহের মধ্যে চীনা নজরদারিকে দুর্বল করার অন্যতম চাবিকাঠি শক্তিশালী জ্যামার। আর এই জ্যামার বসানোর নিয়েই তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বৈদ্যুতিক যুদ্ধের আশঙ্কা।