আজকালের কন্ঠ ডেস্ক : আহতদের চিৎকার শুনে এলাকার অন্যান্য ধর্মের মানুষ মিলে উদ্ধারকাজ শুরু করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের বগুড়া মেডিকেল ও বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করে। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাকিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বগুড়া সদর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১৬ জনের চিকিৎসা চলছে। সনাতন ধর্মের ভক্তরা রথ টেনেছে।নিহতদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন অলোক সরকার (৪০), আতশী রানী (৪০), নরেশ মোহন্ত (৬৫) ও রঞ্জিতা মোহন্ত (৬০)।
এছাড়া আরেকজন নারী মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে মারা গেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।বগুড়ার সিভিল সার্জন মো. শফিউল আযম বলেন, ‘পাঁচজন মারা গেলেও ৪০ জন চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৫ ও সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঁচজন ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘রথের চূড়ায় ধাতব পদার্থ ছিল। ১১ কিলোভোল্টের লাইনে লেগে বিদ্যুতায়িত হয়। রথে উঠে যারা ধাতব পদার্থ ধরে ছিল তারাও আহত হয়। এ ঘটনা পুলিশ তদন্ত করবে।’বগুড়া নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (১) আব্দুল মোন্নাফ জানান, মূল রথের চূড়ার ওপর ধ্বজার উচ্চতা ছিল বেশি।
যে স্থানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সমতল থেকে ২৮ ফুট উচ্চতায় ১১ হাজার ভোল্টের তার ছিল। সেই তারে রথের বিদ্যুৎ পরিবাহী চূড়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনার পর পরই বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে কর্মীরা সেখানে ছুটে যান এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :