নড়াইলে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে হত্যা


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : মার্চ ২, ২০২৪, ৩:০৩ অপরাহ্ন /
নড়াইলে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে হত্যা

নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতিতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থী উপজেলার টোনা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ও টোনা গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য সুলতান আহমেদ মোল্লা (পিকু মোল্লা)’র ছেলে নিলয় মোল্লা।

এ সময় নিলয় মোল্লার সাথে থাকা তামিম খান নামে এক যুবক আহত হয়।
তামিম একই গ্রামের একরাম খানের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাতে জানা যায়, নিলয় মোল্লা ও তামিম খান সহ এলাকার কয়েক ব্যক্তি উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ শুনতে এসে বাড়ি ফেরার পথে ২০থেকে ২৫ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিলয় মোল্যা কে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আহত তামিম খান জানান, গত ১২ থেকে ১৫ দিন আগে টোনা গ্রামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী কে ব্রাহ্মণ পাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খান ইভটিজিং করে। এ সময় নিলয় মোল্লা প্রতিবাদ জানিয়ে ইভটিজিং কারী ব্যক্তি শাকিল খানকে দুটি চড় দেন।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন।
এই ঘটনা জের ধরে আজকে মাহফিল থেকে ফেরার পথে শাকিল খাঁন বিড়ি খাওয়ার কথা বলে আমাকে ও নিলয়কে ডেকে নিয়ে রামদা, সামুরা, সেভেন গিয়ার অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
এ সময় আমরা বাঁচার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করলে ওয়াজ মাহফিলে থাকা লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ও খাশিয়াল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজ্জাক খন্দকার জানান, আমরা ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে জানতে পারি ব্রাহ্মণ পাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খান এর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক দুইটি ছেলেকে কুপিয়ে পালিয়েছে। পরে তাদের কাছে গিয়ে দেখতে পাই তারা আমার নির্বাচনী এলাকার পিকু মোল্লার ছেলে নিলয় মোল্লা ও একরাম খানের ছেলে তামিম খান।
এ সময় তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসি।
হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয় কে মৃত ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দুজনের মধ্যেও নিলয় নামে এক ব্যক্তিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাকি তামিম নামে এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান জানান, নিলয় মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনা জানতে পেরেছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহতের মরদেহের ময়না তদন্ত জন্য সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে।