স্থানীয় ও নিহত শাহাদাৎ হোসেনের মায়ের কাছ থেকে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার চর-শামুকখোলা গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যার প্রথম স্ত্রী চলে যাওয়ায় তিনি এক বছর পূর্বে নিহত শাহাদাৎ হোসেনের মা’ মরিয়ম বিবিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে সব সময় সৎ দাদী রাবেয়া বেগম নিহত বাচ্চাটির সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন।
সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনার দুই তিনদিন আগে দাদী রাবেয়া বেগমের ১৭/১৮ হাজার টাকা চুরি হয়। এ চুরির ঘটনায় রাবেয়া বেগম পুত্রবধূ মরিয়ম বিবিকে সন্দেহ করে। এনিয়ে শাশুড়ী এবং পুত্রবধূর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে সৎ দাদী প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য শাহাদাৎ হোসেনকে হত্যা করেছে বলে জানান নিহতের মা’ মরিয়ম বিবি।
জানা গেছে, বুধবার বিকেলে শিশু শাহাদাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গ্রামের মসজিদে মাইকিং করা হয়। সন্ধায় মাইকিং শুনে একই গ্রামের আমিনুর নামে ৯ বছরের একটি বাচ্চা তাদের খবর জানান। বাচ্চাটি জানায় তাদের বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড় থেকে শাহাদাৎ ও তার দাদীকে তিনি দেখেছেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। সন্দেহভাজন নিহতের সৎ দাদীকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :