বনশ্রীতে গু*লি করে স্বর্ন ও টাকা লুটের ঘটনার সেই ডাকাত গ্রে*ফতার


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : মার্চ ৯, ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন /
বনশ্রীতে গু*লি করে স্বর্ন ও টাকা লুটের ঘটনার সেই ডাকাত গ্রে*ফতার

সিনিয়র রিপোর্টার : রাজধানীর বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ও টাকা লুটের ঘটনায় পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ডাকাত দলের সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম সহ ডাকাত দলের ৬ জন সদস্য কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

জানা যায়, শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে ২০১৭ সালের একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির সূত্র ধরে এ পেশাদার ডাকাত দলের ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত মাসের ২৩ তারিখ রাত পৌনে ১১টার দিকে বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন তার বাড়ির সামনে একটি সশস্ত্র ডাকাতির শিকার হন। ভুক্তভোগী জানান, ডাকাতরা ২০০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে চলে যায়। সেই ঘটনার ভিডিও ও ছবি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হয়। এতে অত্যন্ত ভীতিকর এবং মানুষের মধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি করে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় ৭ জন জড়িত ছিল। এরমধ্যে আমরা ৬ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এ ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্রটিও আমরা দুই রাউন্ড গুলিসহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। সাথে লুট হওয়া স্বর্ণ, বিক্রিত স্বর্ণের ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা উদ্ধার করি। এ ঘটনায় দুটি মোটরসাইকেল ব্যবহার হয়, তার মধ্যে আমরা একটি জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, গ্রেফতার ডাকাতরা পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য। ২০১৭ সালেও তারা একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করেছে। সেই ডাকাতির সূত্র ধরেই এই ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো- মো. কাউছার (৩১), মো. ফরহাদ (৬৪), মো. খলিলুর রহমান (৫০), মো. সুমন (৩০), দুলাল চৌধুরী (৪৩) ও আমিনুল ইসলাম (৩৫)। তবে ডাকাত আমিনুল ইসলাম বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ইকবাল মৃধার ছেলে। সে বাউফল উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতির কাজে নিয়োজিত। ইতিপূর্বে আমিনুল ইসলাম বাউফলের বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে বের হয়েছিলেন। বের হয়ে আবার পুনরায় ডাকাতি কাজে লিপ্ত হন।

ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর ও মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে লুষ্ঠিত স্বর্ণের মধ্যে ৪ ভরি ৯ আনা স্বর্ণ, বিক্রিত স্বর্ণের মূল্যবাবদ নগদ দুই লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা, ঘটনায় ব্যবহৃত একটি ৭.৬২ এমএম রিভলভার, ৪ রাউন্ড গুলি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ভালো আছেন বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।