ধ*র্ষক কিভাবে জামিন পায় প্রশ্ন অভিনেত্রী : শবনম ফারিয়া


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : মার্চ ৫, ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ন /
ধ*র্ষক কিভাবে জামিন পায় প্রশ্ন অভিনেত্রী : শবনম ফারিয়া

আজকালের কন্ঠ ডেস্ক : ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। পর্দায় এখন নিয়মিত না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় দেখা যায় তাকে। নিজের ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত বিষয় এবং সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে নানা সময় কথা বলতে দেখা যায় তাকে। এবার কথা বললেন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ধ*র্ষকের জামিন পাওয়া নিয়ে।

নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ধ*র্ষককে যারা জামিন দিয়েছে কিংবা এই প্রসেসের সাথে যারা জড়িত তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা জরুরী।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে একটি সংবাদমাধ্যমের ফটোকার্ড শেয়ার করে ক্যাপশনে শবনম ফারিয়া লিখেছেন, ‘যেখানে ধ*র্ষকের শাস্তি আমরা মৃ*ত‍্যুদন্ড চাই, সেখানে তারা জামিন পেয়ে ঘুরে বেড়াবে? এখানে যা বলা হচ্ছে তা যদি সত‍্যি হয়, এর থেকে ন্যক্কারজনক কিছু হতে পারে না।’দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা এমনিই খারাপ, তার মধ‍্যে যদি এমন সব ঘটনাও ঘটে, এর থেকে খারাপ দৃষ্টান্ত আর কিছু হতে পারে না।’

এদিকে শবনম ফারিয়ার শেয়ারকৃত ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ৮ বছর আগে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে জামিন দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রতিবেশীর মেয়ের সঙ্গে খেলা করতে গিয়ে ৫ বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ হয়। পরদিন সেই শিশুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। অপরাধী ৫ বছরের ওই শিশুর মাথা, গলা, হাত ও প্রজনন অঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে। সিগারেটের ছেঁক দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করে।

এ ঘটনার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধী সাইফুলের বিরুদ্ধে শিশুর বাবা মামলা করেন। অভিযোগের পর অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ঘটনার ৮ বছর পর ১৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর জেলা কারাগার থেকে ‘দীর্ঘদিন হাজতবাসের’ কারণ দেখিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাইফলু।

তার মুক্তিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। তিনি বলেন, আমার বাসার কাছেই তার বাসা। চোখের সামনে ঘুরে বেড়ায় সে। এদিকে আমার মেয়ে, মেয়ের মা ঘর থেকে বের হতে পারে। মেয়েটা চুপ হয়ে গেছে। মনটা ভারী করে থাকে। বিচার তো পেয়েছিলাম, তাহলে এমন হলো কেন? যাবজ্জীবনের আসামি ছাড়া পেল কেন?

আজকালের কন্ঠ / জু