জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সাধারন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ, বৃত্তির কাজ, ফলাফলের কাজ, সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলন, পরিবহন ও লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনায় পূর্বের ন্যায় দূর্ভোগ লাঘবের জন্য কয়েকটি দপ্তরে অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন চালুর দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সোমবার ( ৬ই জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং – এ উপাচার্যের কার্যালয়ে উক্ত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পরিবর্তিত বাংলাদেশে ইতিবাচক যাত্রার যে সূচনা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে সেই যাত্রার অন্যতম দাবি ছিলো আমাদের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রেজিস্ট্রার অফিস অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা। কিন্তু দূঃখের সাথে যে বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে তা হলো, পর্যাপ্ত সময় অতিবাহিত হলেও বর্তমান প্রশাসন অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন নিয়ে ঠিক কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা শিক্ষার্থীদের কাছে স্পষ্ট নয়।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, অটোমেশন এবং ডিজিটালাইজেশন যেমন শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাবে, তেমনি প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিও বাড়াতে সহায়তা করবে। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে অটোমেশন এবং ডিজিটালাইজেশনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন চাওয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো হলো পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস, রেজিস্ট্রার অফিস, পরিবহন অফিস ও লাইব্রেরি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহবায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরি ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা, পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ, বৃত্তির কাজ, ফলাফলের কাজ, ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনসহ নানান দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সকল প্রকার হয়রানি ও দুর্ভোগ এড়াতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহে অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশনের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি। আশা করি সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সমস্যাগুলো সমাধানে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :