তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহি ঢাকা কলেজ সিটি কলেজের মধ্যে তুমল সংঘর্ষ


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২১, ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন /
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহি ঢাকা কলেজ সিটি কলেজের মধ্যে তুমল সংঘর্ষ

বায়েজিদ আহমেদ জোনায়েত : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহি ঢাকা কলেজ সিটি কলেজের মধ্যে তুমল সংঘর্ষ।

আজ উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের ১৮৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান সকালে শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের র‍্যালি,জাতীয় পতকা উত্তোলন ,বিভিন্ন আয়োজন মধ্য শুরু হয় শিক্ষকও শিক্ষার্থীদের আজকের অনুষ্ঠান ।

তখন ঢাকা কলেজর ইন্টারমিডিয়েটর তৌহিদ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী সিটি কলেজে পাসে উদ্ভাস কোচিং সেন্টারে থেকে ক্লাস শেষ করে তাদের বহনকারি গাড়ি বিজয় -৭১ জন্য অপেক্ষা করে তখন সিটি কলেজে একদল তৌসিফ হোসেনকে মারধর করে তার আইডি কার্ড নিয়ে যায় এবং কলেজে ড্রেস ছিড়ে ফেলে।তখন গাড়ি থেকে অনার্সের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে ওরা ইট পাটকেল নিরপেক্ষ করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।

এক পযার্য়ে অনেক শিক্ষার্থীরা আহত হলে। তখন ঘটনা পরিদর্শনে শিক্ষকেরা গেলে সিটি কলেজের সন্ত্রাসীরা শিক্ষকদের উপর হামলা করে এতে অনেক শিক্ষক আহাত হয়।এর পর আহতদের উদ্ধার করতে ঢাকা কলেজর শিক্ষার্থীরা বের হলে পুলিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঢাকা কলেজর শিক্ষার্থীদের উপর টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেন্ট, রাবার বুলেট ছুড়ে এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আহত হয়। এক পর্যায় পুলিশ সেনাবাহিনী ঢাকা কলেজের ২ নং গেট ভেঙে প্রবেশ করে শিক্ষিত – শিক্ষার্থীর নির্মম নির্যাতন চালায় ও কলেজ অডিটোরিয়াম ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি দিকে সাউন্ড গ্রেন্ট নিক্ষেপ করে অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হয়।ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তীব্র নিন্দা জানায়।

ঢাকা কলেজ এবং সিটি কলেজের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় সাংবাদিক সম্মেলন করেন।এখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপালসহ সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজকের বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য ।

আজকে আমাদের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠান শেষে করে শিক্ষার্থীরা কলেজ বাসে দিয়ে সাইন্সল্যাব মোড়ে যাওয়ার পথে সিটি কলেজের সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। পূর্বের ফ্যাসিস্ট সরকারের দোশর হয়ে বর্তমান সরকারের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যর্থ করাতেই আওয়ামী দোষরদের এই সন্ত্রাসী হামলা চালায় এখানে সিটি কলেজের সন্তাসীরা (চুরি, রড, প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে তাদের টিভি ফুটেজ দেখে ১৫ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আগামীকাল আমাদের যে সকল পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া সাংবাদিকদের সামনে কিছু দাবি তুলে ধরেন।

দাবীসমূহ:
১। দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি শিক্ষকরাও আহত হয়েছেন
২। আমাদের স্থাপনা সেনাবাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাংচুর করেছে। যা আমাদের জন্য লজ্জানজক। এ হামলায় সংশ্লিষ্ট জড়িত প্রশাসনের উর্ধ্বত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩। বিশেষ করে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা যারা এই হামলার নির্দেশ দিয়েছে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
৪। ইতিপূর্বে সকল বিশৃঙ্খলার সাথে সিটি কলেজ কতিপয় সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীরা দোষী সাবস্ত হওয়ায় এবং পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজজকে স্থানান্তর করতে হবে।
৫। সিটি কলেজের যেসকল শিক্ষকরা এই নিন্দনীয় ঘটনা সরাসরি নির্দেশ ও জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
৬। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে স্বশরীরে ক্যাম্পাসে এসে পরিদর্শন করতে হবে।
৭। এই হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
৮। বৈষম্য বিরোধীন আন্দোলনে সাত শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন তাই পরিকল্পিতভাবে ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হামলা করে বর্তমান সরকারতে ব্যর্থ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে সরাসরি সিটি কলেজ এ পুলিশ জড়িত ছিলো।
৯। ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সকল দাবী দাওয়া মেনে নিয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা কলেজের একজন শিক্ষার্থী ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন সেনাবাহিনীর হাতে কি এইরকম ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার দেয়া হয়েছে।
যে একজন নীরঅপরাধ শিক্ষার্থীক, তাকে এ ভাবে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হবে।ধিক্কার_জানাই সেনাবাহিনী নামে এইরকম সন্ত্রাসী হামলা ন্যাক্কারজনক ঘটনার।
এ বিষয় নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিন কাছে জানতে চাওয়া। সে সাংবাদিকদের বলেন তারা এ বিষয় পুরোপুরি অবগত ছিলোনা কিছু সেনাবাহিনী ও পুলিশের রিজাভ সদস্য তৎক্ষণাৎ এ ঘটনা সৃষ্টি করে।আমি এ ঘটনা পরিদর্শন করছি, আশা করি অতি দ্রুত সুষ্ঠ তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো।