যা বললেন শরিফুল শিক্ষার্থীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : জুলাই ১৬, ২০২৪, ৫:৪০ অপরাহ্ন /
যা বললেন শরিফুল শিক্ষার্থীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে

স্পোর্টস ডেস্ক : কোটা সংস্কার ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উত্তাল রাজধানীসহ পুরো দেশ।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের শুরুটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক হলেও এবার তা স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়, গাবতলী-মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, নতুন বাজার, মধ্য-বাড্ডা থেকে শুরু করে নদ্দা-বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নতুন বাজার, কুড়িল বিশ্বরোড, মহাখালী-বনানী সড়ক, উত্তরা, মিরপুর ১০ নম্বর, তাঁতীবাজার, বেইলিরোড ও বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষও সমর্থন জানিয়েছেন। এবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানালেন জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা পেসার শরিফুল ইসলাম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে সংক্ষিপ্ত এক স্ট্যাটাসে তার ভাষ্য, ‘আমি একজন ক্রিকেটার হলেও একজন ছাত্র। আমি চাই না আর কোনো ছাত্রছাত্রীর রক্ত ঝরুক।

এদিকে জাতীয় দলের ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের এই শিক্ষার্থীর মন্তব্য, ‘সবকিছু থেকে দূরে আছি, তাই অনেক কিছুই দেখা হয়নি…। আমার প্রাণের ঢাকা ইউনিভার্সিটি, আর রক্তাক্ত না হোক।’

গত রোববার (১৪ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এতো ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? এই বক্তব্যের প্রতিবাদেই সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বের হন।

এ ঘটনায় সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় ছাত্রলীগের। এদিন বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

রাত ৯টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাবি ক্যাম্পাস। হামলা ও সংঘর্ষে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অংশ নেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা। এদিনও তাদের হাতে ছিল হকিস্টিক, লাঠি, রড, জিআই পাইপসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা যায় অন্তত পাঁচজন অস্ত্রধারীকে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও চিকিৎসাধীন রয়ে গেছেন ৬ শিক্ষার্থী।