মদনে হদিস নেই ভুমি অফিসের ভুক্তভোগীদের মিসকেসের নথি


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : জুলাই ৯, ২০২৪, ১:০০ অপরাহ্ন /
মদনে হদিস নেই ভুমি অফিসের ভুক্তভোগীদের মিসকেসের নথি

নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদন উপজেলা ভূমি (এসিল্যান্ড) অফিসের ভুক্তভোগীদের মিসকেসের নথির হদিস মিলছে না। হদিস না পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে সাবেক এসিল্যান্ড মো. শাহানুর ও অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের বিরুদ্ধে। এনিয়ে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক চন্দন মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের তথ্যটি নিশ্চিত হওয়া গেছে বর্তমান এসিল্যান্ড এ.টি.এম. আরিফের সাথে কথা বলে।

মাসখানেক আগে মদন উপজেলা ভুমি অফিসে গেলে ভুক্তভোগীর তর্ক-বিতর্ক শুনতে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এবিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘ আট মাস যাবত নথিগুলো অফিসে নেই। ভুক্তভোগীদের পরিচয় সন্ধানের পরে এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে আগের এসিল্যান্ড আমলে নথিগুলো নিস্পত্তি হওয়ার কথা থাকলেও এতোদিনেও ভুক্তভোগীরা মিসকেসের কোন প্রতিকার পাননি।

ভুক্তভোগীরা হলেন, উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের মো. লাহুত মিয়ার মিসকেস মামলা নং- ৭৯ (xiii) ২০২২-২০২৩, কুলিয়াটি গ্রামের মোছা. জয়নবের মিসকেস মামলা নং- ৭৩ ((xiii)) ২০২২-২০২৩। এছাড়াও আরো এক-দুইজন ভুক্তভোগীর নাম জানা গেলেও মিসকেস মামলার নাম্বার জানা যায়নি।
ভুক্তভোগী লাহুত মিয়া জানান, আগের এসিল্যান্ডের আমলে আমার মিসকেস মামলার হেয়ারিং হয়েছিল। পৈতিক সম্পদ আমার বড় ও ছোট ভাই খারিজ করে ফেলেছে।

শুনানিতে খারিজ বাতিল হয়ে আমার পক্ষে রায় হয়। এটার একটা রিপোর্ট আমার পাবার কথা। প্রায় আট-নয় মাস চলে গেছে রিপোর্ট পায়নি। সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে দিচ্ছি সময় নেওয়া হচ্ছে। কোন দেশে শোনেনি এসিল্যান্ড ফাইল (নথি) নিয়ে যেতে। বিষয়টি আজাদ চেয়ারম্যানকে বলেছি। পরে আজাদ চেয়ারম্যান বলেছে ফাইল নিয়ে যাবে কারণটা কি।

সে (সাবেক এসিল্যান্ড) যেটা লেখবে তা লিখে চলে যাবে। বদলী হয়ে নতুন যিনি আসবেন তিনি তা দেখবেন। অফিসের গেলে তর্ক-বিতর্ক শোনা যায় আমার মতো এরকম অনেকের ফাইলের হদিস মিলছে না।মুঠোফোনে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক চন্দন মিয়ার কাছে নথি না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বারবার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে চন্দন মিয়া প্রতিবেদককে অফিসে এসে দেখা ও কথা বলতে বলেন।

সাবেক এসিল্যান্ড ও বর্তমানে নেত্রকোনা জেলা প্রশসাকের কার্যালয়ের (জেএম শাখা) সিনিয়র সহকারি সচিব মো. শাহনুর বলেন, বদলী হয়ে চলে গিয়েছে কিছু আদেশ পেন্ডিং ছিল। সেগুলোর আদেশ তো দিতে হবে। বদলীজনিত কারণে দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় নথিগুলো না বুঝিয়ে দিয়ে পুরাতন কর্মস্থলের রায় নতুন কর্মস্থলে লেখা যায় কিনা প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঠিক আছে এই বিষয়ে অফিস সহকারির সাথে কথা বলছি।

নথির বিষয়ে তিনি প্রতিবেদককে আরও বলেন, আগামীকাল ফোন দিয়ে জেনে নিবেন।বর্তমান এসিল্যান্ড এ.টি.এম. আরিফ বলেন, বিষয়টি অবগত হবার পর অফিস সহকারি চন্দন মিয়াকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাবার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।