আজকালের কন্ঠ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক ভাবে দেশকে ধ্বংস করতে না পেরে এখন অর্থনৈতিকভাবে দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পরে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। ক্ষমতা দখলকারীরা উর্দি খুলে হঠাৎ রাজনীতিবিদ হয়ে যায়। জিয়াউর রহমান তা দখল করেই সংবিধান স্থগিত করে মার্শাল ল জারি করে। হ্যাঁ না ভোটের না বাক্স খুঁজেই পাওয়া যায়নি। গণতন্ত্রের নামে জনগণকে ধোকা দিয়েছে।
বিএনপি সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া থেকে খালেদা জিয়ার ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি লাগাতার ভোটকারচুপি করে গেছে। ভোট চুরির জন্যই খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে ১৯৯৬ সালের ৩০ শে মার্চ পদত্যাগ করতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, আজ আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে বেশ কথা বললেও যখন মেলেটারি ডিটেক্টররা মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করেছিল তখন তাদের চেতনা কোথায় ছিল?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট অধিকার প্রতিষ্ঠায় যা হয়েছে, আওয়ামী লীগই করেছে। নির্বাচন কমিশনকে আইন করে শক্তিশালী করা হয়েছে। নির্বাচনকে স্বচ্ছ করার জন্য যা যা করা দরকার সবই করেছে আওয়ামী লীগ। যতবার বিএনপি নির্বাচন করেছে, ততবার ভোট কারচুপি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এক সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে আওয়ামী লীগ সরকার আইন করে দিয়েছে যার অধীনে এখন দেশে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। ৮২টি সংশোধনী এনে অবাধ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী আইন করে দিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। উত্তরবঙ্গে এখন আর মঙ্গা হয় না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা ছাড়া খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান, এরশাদ, সাত্তার সবার জন্ম বাংলাদেশের বাইরে।
২০১৮-এর নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নির্বাচন নিয়ে সফলভাবে অপপ্রচার চালায়। কিন্তু সেই অপপ্রচারের পক্ষে একটি নিদর্শনও দেখাতে পারেনি। আবারো বিএনপি বিচারপতির বাসায় হামলা, যারা তাদের সংবাদ কাভার করতো সেই সাংবাদিকরাও রক্ষা পায়নি, পুলিশকে কুপিয় কুপিয়ে হত্যা করেছে। বাস, রেল পুড়িয়েছে। রেল লাইন কেটে মানুষকে হত্যা করতে চায়। মানুষকে হত্যা করে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ভদ্র ভাবে মিছিল মিটিং করছিল, তখন তাদের গ্রহণযোগ্যতা ফিরে আসছিল। জমায়েতও ভাল হচ্ছিল। আবার তারা যখন হামলা, আগুন, সন্ত্রাস, বাসে-ট্রনে আগুন, পুলিশ হত্যায় মেতেছে। তখনই তারা জনবিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।
আজকে দেশের উন্নয়ন ধ্বংস করার জন্য বিএনপির যত চেষ্টা। রাজনৈতিক ভাবে চেষ্টা করে না পেরে, এখন তারা অর্থনৈতিকভাবে চেষ্টা করছে। দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা।
আপনার মতামত লিখুন :