মিজানুর রহমান : পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করে জলাবদ্ধতা নিরসনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী বিএম সিরাজের প্রধান অঙ্গীকার। সরু রাস্তা প্রশস্তকরণসহ একটি মডেল হিসেবে এ ওয়ার্ডকে গড়তে চান তিনি।
নিজ এলাকার বাসিন্দাদের মন জয় করে তাদের ভালোবাসা অর্জনসহ সব নেতৃত্বেই সমানতালে সফলতা অর্জন করেছেন। তার এই সফলতার পেছনে অন্যতম প্রধান কারন তার অতি সাধারন জীবনযাপন ও মানুষের বিপদে আপদে সর্বদায় পাশে থাকার এক অদম্য মানষিকতা ।যা তাকে তার এলাকার সর্বস্তরের মানুষের জন্য সেবা করাই আমার ধর্ম মধ্যমনি করে রেখেছে, কেউ কোন সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসলে ব্যস্ততার ভিড়েও ধৈর্য্য সহকারে তাদের কথা শুনেন,সমস্যা সমাধানের সর্বাত্মক চেস্টা করেন। তার এই মহত কাজটি তিনি ছোট বেলা থেকেই করে আসছে।
উত্তর মুগদায় বর্তমানে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপালটি ছিল বিশাল ঝিল। এই ঝিলের উপরই আজ হাসপাতাল। ঝিলের দক্ষিণে প্রায় তিন বিঘা জমির উপর ক্যাসিনো নামক জুয়ার আসরের নিয়ন্ত্রণকর্তা ছিলেন ভূমিদস্যু আর জুয়ারীরা। মুগদাপাড়া নাগরিক কমিটির সভাপতি হিসেবে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব সাবের হোসেন চৌধুরীর দিক-নির্দেশনায় সেই ক্যাসিনো ক্লাবটি ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে ডিপিডিসির সাব স্টেশন নির্মাণ করে দিয়েছেন বিএম সিরাজ। ঐ ক্লাবটিতে সার্বক্ষণিক মদ, গাঁজা, হেরোইন ও ফেনসিডিলসহ নানাহ নেশাজাত দ্রব্য কেনাবেচা হতো। অপরদিকে হাসপাতালের প্রায় ৫ বিঘা জমির উপর শতশত অবৈধ বস্তি ঘর নির্মাণ করে ভূমিদস্যুরা তা ভাড়া দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঐ হাসপাতালটি উদ্বোধনে আসার আগে বিএম সিরাজ মাননীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশে ঐসকল অবৈধ ঘর ভেঙ্গে দিয়েছেন জনগণ ও রাষ্ট্রের স্বার্থে। যেই ঘরগুলো ছিল মদ-জুয়ার আড্ডা ও অসামাজিক কার্যকলাপের আঁখড়া। এছাড়া হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের রাস্তার সাথে আরো প্রায় তিন বিঘা খাস জমি উদ্ধার করে পানির পাম্প, রাষ্ট্রীয় সেবা প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান এ মফিদুল ইসলামের অফিস ও থানা নির্মাণে সহায়তা করেছেন তিনি। বিএম সিরাজ তৎকালীন সময়ে ২৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের
সভাপতি হিসেবে ওয়াদা করেছিলেন মুগদা এলাকায় সকল সরকারি সম্পদ উদ্ধার করে জনকল্যাণমুলক কাজে ব্যবহার করবেন, তিনি তাই করেছেন। তারই আলোকে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে উত্তর মুগদা বড়বাজার বিশ্বরোড সংলগ্ন সরকারের প্রায় তিন বিঘা খাস জমি উদ্ধার করে দেশের স্বনামধন্য আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ করেছেন। যে জায়গাটি দীর্ঘদিন ভূমিদস্যুরা দখলে রেখেছিলো। ভুমিদস্যুরা প্রতারণার মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকার সেই জায়গাটিতে বেকার যুবকদের কল্যাণের কথা বলে সেখানে জুয়ার আসর ও মদের আঁখড়া তৈয়ার করেছিল। বিএম সিরাজ শত বাধা সত্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের মূল্যবান ঐ সম্পদ উদ্ধার করে আজ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের মত একটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন বলেই তিনি ভুমিদস্যুদের চক্ষুশুল হয়েছেন। এছাড়াও গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইনের সংস্কার করেছেন। ভাঙাচোরা রাস্তা ও স্যুয়ারেজ লাইনের মেরামত করেছেন। এখনো রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে। প্রতিদিন তার এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান চলছে। ডেঙ্গু মশা নিধনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছেন। মুগদা কবরস্থানকে আধুনিকায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনসহ রাতে লাইটিং ব্যবস্থা করেছেন। পুরো মুগদা এলাকাকে তিনি সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছেন। স্থানীয় এমপি জনাব সাবের হোসেন চৌধুরীর মাধ্যমে মুগদার সবক’টি মসজিদকে সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য অনুদান দেওয়া হয়েছে। এসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে প্রতিপক্ষ হিংসায় জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএম সিরাজুল ইসলামকে নিয়ে গর্ব করেন। মুগদার রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থানে আছে বিএম সিরাজের কারণেই। তিনি এমনই একজন নেতা, যে নেতার কোন লোভ-লালসা নেই। তিনি কখনো কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননা। কর্মী বান্ধব এ নেতা কোন ভাইয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিজের জীবন উৎস্বর্গ করতেও পিছপা হবেনা বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
কাউন্সিলর প্রার্থী বিএম সিরাজ বলেন, আমার নির্বাচনী গণসংযোগসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে দলীয় সব নেতাকর্মী কাজ করছেন। পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে সব দলের ও মতের এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছেন।
আজকালের কন্ঠ /মিজান