হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার গাওয়ালিয়ার দোকান


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ৮:১২ অপরাহ্ন /
হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার গাওয়ালিয়ার দোকান

মো. মোশারফ হোসেন,দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের অনন্য এক নিদর্শন গাওয়ালিয়া দোকান গুলো বিলুপ্তের পথে যা বর্তমানে বিরল। বর্তমানে দেখা যায় এরকম মাথায় করে গাওয়ালিয়া দোকান গুলো।

দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় (৬০টি) গ্রামের পাড়া মহল্লায় কোথাও দেখা যায় না গাওয়ালিয়ার দোকান গুলো। কালের বিবর্তনে এসব দোকানগুলো দুর্লভ হয়ে উঠছে। বর্তমানে এসব দোকান আজ বিলিন হওয়ার পথে। আজকাল এসব গাওয়ালিয়ার দোকান দেখা যায় না বললেই চলে। এসব দোকান যেন ডাইনোসরের রূপ ধারণ করছে৷ গ্রাম বাংলার এসব অনন্য সম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে আধুনিকতার করাল গ্রাসে।

তারই একজন দশমিনা উপজেলার নিজাবাদ গ্রামের বাসিন্দা তাজেম আলী মোল্লাকে। যাকে প্রায়ই উপজেলার নানা জায়গায় ডালা মাথায় বহন করে গাওয়ালিয়ার দোকান করতেন। তার দোকানে পাওয়া যেতে চিলাপি, মুরালি, আঙ্গুলি, মোয়া, দইসহ বিভিন্ন আচার ও মিষ্টান্ন। তার দোকান থেকে নানা জিনিস ক্রয় করতো স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ গ্রামের নানা লোকজন। এখন তিনি গ্রাম বাংলার গাওয়ালিয়ার দোকান করা থেকে অবসর নিয়েছেন।

স্কুল শিক্ষার্থী মো. রবিউল বলেন, আমার দাদু ও দাদির মুখে শুনি এসব গাওয়ালিয়ার দোকান গুলোর কথা যা আমাদের চোখে স্বপ্নের মত দেখায়, আমার ১০/১১ বছরের মধ্যে কোথাও এমন গাওয়ালিয়ার দোকান দেখি নাই ভবিষ্যৎ দেখবো কিনা তা মনে হয় না তবে এরকম দোকান দেখার খুব ইচ্ছে ।

উপজেলার বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখতাম বাড়ির উঠনে মা চাচিরা গাওয়ালিয়া দোকানদার থেকে ধান দিয়ে কেউবা চাল দিয়ে চিলাপি আঙ্গুলি মুরালি কেনাকাটা করতো। এসব কথা বললে বর্তমান যুগের ছেলে মেয়েরা বলে আপনি এসব গল্প করেন আমাদের সাথে। ১২/১৩ বছর আগেই গ্রাম থেকে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গাওয়ালিয়ার দোকান।