আট বছর ধরে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন নিচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারি


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৭, ২০২৫, ৮:৪১ অপরাহ্ন /
আট বছর ধরে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন নিচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারি

জিয়াউল হক, বরিশাল : বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের কালেংগা কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়মিত খোলা হয় না বলে দাবি করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ক্লিনিকে আট বছর ধরে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন নিচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারি নাসিমা বেগম। নাসিমা বেগম আট বছর ধরে অসুস্থ দেখিয়ে ক্লিনিকে না আসলেও প্রতি মাসেই নিচ্ছেন সরকারি বেতন। এই ক্লিনিকে সঠিক সেবা মিলছে না এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ছাড়াও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মো: রাকিবুল ইসলাম স্থানীয় নাসির হাওলাদারের কন্যা লোপা আক্তারকে ধর্ষণও হত্যা মামলায় আসামি হয়ে প্রায় ৬ মাস ধরে ক্লিনিকে যায় না বলেও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ তৃণমূলে পৌঁছে দিতে সরকারের উদ্যোগে কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়। চাহিদা অনুযায়ী বছরে ৩ থেকে ৪ বার ওষুধ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। সরকার এই কালেংগা কমিউনিটি ক্লিনিকে টাকা খরচ করলেও পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছেন না দাড়িয়াল ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ন্ত্রণাধীন এই কমিউনিটি ক্লিনিকে তদারকি না থাকায় সিএইচসিপিও নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপিদের সপ্তাহে ৬ দিন দায়িত্ব পালন করার কথা। একই সঙ্গে ইউনিয়নভিত্তিক স্বাস্থ্য সহকারীদের ৩ দিন এবং পরিবার পরিকল্পনা সহকারীদের (এফডব্লিউএ) ৩ দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে বসে সেবা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। সে হিসেবে প্রতিদিন কমিউনিটি ক্লিনিকে দুজনের সেবা প্রদান করার কথা থাকলেও কালেংগা কমিউনিটি ক্লিনিক মাসের পর মাস বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষজনের অনেকে কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকে।

সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার দাড়িয়াল ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কালেংগা কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা। ক্লিনিকের সামনে অপেক্ষা করছেন ৬ জন রোগী। রোগীরা অভিযোগ করে বলেন মাসের পর মাস এভাবেই এই ক্লিনিকটি বন্ধ রয়েছে।

কালেংগা ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী নাসিমাকে এই বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন করা হলে তার ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রদীপ দাস বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক দেখার দায়িত্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সুমি আক্তার বলেন, আপনাদের মাধ্যমেই এই সংবাদটি আমরা পেলাম। তদন্ত করে আইন অনুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।