আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাচ বয়কটে রাজনীতিবিদদের চিঠি


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৭, ২০২৫, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন /
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাচ বয়কটে রাজনীতিবিদদের চিঠি

স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানে তালেবান শাসকদের দ্বারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন দেশটির নারীরা। যার প্রতিবাদে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যাতে ম্যাচ বয়কট করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল; এমন দাবি জানিয়ে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) কে চিঠি দিয়েছে দেশটির রাজনীতিবিদরা। যেই চিঠিতে সাইন করেছে ১৬০ জনের বেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তবে চিঠি দিয়ে ম্যাচ বয়কটের আহ্বান জানানো হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসিবি।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে আট দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। যেখানে টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে ইংল্যান্ডের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ২৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার কথা ইংল্যান্ডের। সেই ম্যাচটি যাতে না খেলে ইংল্যান্ড দল তারই আহ্বান জানায় দেশটির রাজনীতিবিদরা।

তালেবান শাসনাধীন আফগানিস্তানে নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর জঘন্য আচরণের বিষয়টি তুলে ধরে সেই চিঠিতে ইসিবিকে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, ইসিবি যেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বয়কট করার কথা ভাবে।

ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড বরাবর লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ইংল্যান্ড পুরুষ দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাচ্ছি তালেবান শাসনাধীন আফগানিস্তানে নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর জঘন্য আচরণ নিয়ে কথা বলতে। আমরা এটাও অনুরোধ করছি, ইসিবি যেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বয়কট করার কথা ভাবে। তাতে তালেবানের নির্মম আচরণের বিরুদ্ধে সেই বার্তা দেওয়া হবে।’

যার জবাবটা দ্রুতই দিয়েছে ইসিবি। যেখানে অবশ্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচবয়কের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বিপরীতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান যে নারীদের ক্রিকেট খেলতে দিচ্ছে না, সে কারণে ইসিবি দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলা থেকে বিরত আছে।

ইসিবি প্রধান আরও বলেন, ‘ইসিবি অবশ্যই তালেবান শাসনে আফগান নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি আচরণের কঠোর নিন্দা জানায়। আফগানিস্তান যে নারীদের ক্রিকেট খেলতে দিচ্ছে না, সে কারণে ইসিবি দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলা থেকে বিরত আছে। তবে কোনো একটি দেশের একাকী প্রতিবাদের চেয়ে আইসিসি যদি সবাইকে নিয়ে কিছু করে, সেটিই বেশি কার্যকর হবে।’