বাকেরগঞ্জের ফুটপাত এখন হকারদের দখলে পথচারীরা বিপাকে


আজকালের কণ্ঠ প্রকাশের সময় : জুলাই ১০, ২০২৪, ৪:১৫ অপরাহ্ন /
বাকেরগঞ্জের ফুটপাত এখন হকারদের দখলে পথচারীরা বিপাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক :- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের ফুটপাথগুলোতে যেন পা ফেলার জায়গা নেই। নানাভাবে এগুলো দখলকৃত।দিন যতো যাচ্ছে যানজটের ভয়াবহতা ততোই বাড়ছে বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের প্রবেশ পথ সদর রোড সহ প্রতিটি মোরে যানজট লেগেই রয়েছে প্রায় সব ফুটপাথই হকারদের দখলে।

হকারদের কারণে ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কর্মব্যস্ত মানুষ, শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুরা। চলতে গেলেই সব সময় বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের। ফুটপাত আর রাস্তার একাংশ দখল করে, অর্থাৎ হাঁটার অধিকারকে তোয়াক্কা না করে হকারদের ব্যবসা করাটা সবার গা সওয়া হয়ে গেছে। মুখে না বললেও প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকেরা কার্যত এটি মেনেও নিয়েছেন।

বাকেরগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সদর রোড বাকেরগঞ্জ টু বরগুনা রোড প্রধান প্রধান সড়কের পাশ রয়েছে ফুটপাতের দখলে।সুশীল সমাজের অভিমত, ফুটপাতে হকারদের বেপরোয়া আচরণজনিত এই বিশৃঙ্খল অবস্থাটি নতুন নয়। অনেক বছর ধরেই এ অবস্থা চলে আসছে। প্রশ্ন ওঠে, এই হকাররা সবার চোখের সামনে এত দুঃসাহসী হয়ে উঠছেন কী করে?

বিধিভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পথচারীদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পৌরসভা ও পুলিশের এত অনীহা কেন? তাহলে সাধারণ নাগরিকেরা কি তাঁদের কাছে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক? হকার উচ্ছেদের প্রসঙ্গ এলে অনেকে গরিব মানুষের রুটি-রুজির প্রশ্নটি সামনে নিয়ে আসেন। তাঁরা ভুলে যান ফুটপাত হাঁটার জন্য। তাঁরা ভুলে যান এটি দখল করে কেউ রুটি-রুজির সংস্থান করতে বসলে তার বিরোধিতা করাই বিধেয়।

বাকেরগঞ্জ পৌরবাসী হকারমুক্ত ফুটপাতে হাঁটার অধিকার চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তাঁদের এই চাওয়াকে ‘গরিবের রুটি-রুজির বিরোধিতা’ হিসাবে দাঁড় করানোর চেষ্টাটিই ‘রাজনীতি’।জানা যায়, বাকেরগঞ্জ সদর রোডের প্রবেশ পথ, বাকেরগঞ্জ স্ট্যান্ড থেকে কালীগঞ্জ সড়ক জাহানারা ক্লিনিক পর্যন্ত ,বাকেরগঞ্জ ব্রিজের নিচ থেকে সদর রোড , এবং বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে থেকে সদর রোড পর্যন্ত ।

কিছু কিছু দোকানের সামনের একাংশ রাস্তার ভিতরে আবার সদরের ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় দোকানদাররা তাদের বিক্রয়কৃত মাল ফুটপাত দখল করে বিক্রি করেছেন এতে করে মানুষ হাঁটা চলার বিঘ্ন ঘটছে আশপাশের বিরাট এলাকাজুড়ে ফুটপাতের এক ইঞ্চিও খালি নেই। সবই হকারদের দখলে। জানা গেছে এই বিশাল দলদারিত্বকে ঘিরে সক্রিয় চিহ্নিত চাঁদাবাজচক্র। যারা প্রতিদিনই ফুটপাতের হকারদের কাছে থেকে চাঁদা তুলছে।

প্রতিনিয়ত ফুটপাথ থেকে চাঁদা তোলার জন্য বিশেষ গ্যাং আছে। এসব গ্যাং ফুটপাথ হকারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলে। এরা সবাই চিহ্নিত কিন্তু তাঁদের ব্যাপারে প্রশাসনকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এদিকে, বাকেরগঞ্জের সদর রোডের সবগুলো রাস্তা দখলে করে চুটিয়ে ব্যবসা করছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি মার্কেটের সামনে দোকানের মালামাল। হাঁটার মতো কোনো জায়গা খালি নেই। বাকেরগঞ্জ সদর রোডে সড়কে ফুটপাত বলে কিছুই নেই।

আবার এদিকে একই চিত্র দেখা যায় সদর রোডের বিভিন্ন রড সিমেন্ট দোকানগুলোতে যেখানে পৌরসভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বড় ধরনের কোন কাবার ভ্যান দিনের বেলায় ঢোকা সম্পূর্ণ নিষেধ সেখানে তারা ফুটপাত থেকে মানুষ হাটা অবস্থায় গাড়ি থেকে মাল নামানো উঠানো এতে করে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ছে ফুটপাতের বিভিন্ন অংশে থাই অ্যালুমিনিয়ামের দোকানের জিনিসপত্র রেখে কাজ করা হচ্ছে।