ইয়াবা পাচার মামলায় রোহিঙ্গাসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন

নিউজটি শেয়ার করুন

আজকালের কন্ঠ ডেস্ক : কক্সবাজারে পাঁচ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ মে) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতদের একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের মৃত খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে মো. মহররম আলী, একই ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ডাঙার পাড়ার দুদুমিয়া বলীর ছেলে মো. আমান উল্লাহ, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবির পাড়ার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে নুরআলম, একই উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলী পাড়ার মৃত আবু তালেবের ছেলে আবদুল মুনাফ, উখিয়ার বালুখালী ৯নং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের জামাল হোসেনের ছেলে আবদুল পেডাম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবির পাড়ার ফয়সল আহমদ প্রকাশ ফজল আহমদের ছেলে আবদুল শুক্কুর ও সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলী পাড়ার আবুল হোসেন প্রকাশ হাশেমের ছেলে জাহিদ হোসেন।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিতরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। আর আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, আনোয়ার হোসাইন, আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও অ্যাডভোকেট তাজমিন হুদা চৌধুরী সেতু মামলা পরিচালনা করেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, মাদকমুক্ত জেলা ঘোষণা ও মাদকের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সসহ মাদকের ব্যবসাকে নির্মূল করতে এ রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর টেকনাফের বাহারছড়ার বড় ডেইল বঙ্গোপসাগরে কিনার থেকে কোস্টগার্ড কর্তৃক আটক হওয়া পাঁচ লাখ পিস ইয়াবা পাচার মামলায় আজ এ রায় ঘোষণা করা হলো। মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি রোহিঙ্গা শরণার্থী আবদুল পেডামকে সাজা ভোগের পর মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কক্সবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »