রাণীশংকৈল প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় সাতঘড়িয়া সন্ধ্যারই গ্রামের ফজলুর রহমান। প্রায় ৭ বছর তিন মাস নিজের পায়ে জুতা পরেননি। শপথ নিয়েছিলেন বিএনপি ক্ষমতা না আসা পর্যন্ত পায়ে জুতা পরবেন না । এ অভিমানের সমাপ্তি ঘটে ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের বিএনপি’র এমপি জাহিদুর রহমান জয় হওয়ার পর।অভিমান ভাঙ্গিয়ে এমপি জাহিদুর তাকে পায়ে জুতা পরিয়ে দেন। ফজলু খুব অভিমানি একজন সাধারণ মানুষ। বয়স আনুমানিক ৫০ ছুই ছুই। বিএনপি’র একজন অন্ধ ভক্ত, খালেদা জিয়া আর ফখরুলের বক্তব্য শুনলে তার মনযোগ বেড়ে যায়। তার গ্রামের অধিকাংশ মানুষই আওয়ামীলীগ ভক্ত অথচ ফজলুর রহমান মাথা নত করতে নারাজ। মির্জা ফখরুলের প্রতি তার অগাধ ভালবাসা। স্থানীয় বিএনপি কোন নেতা কর্মী সামনে পেলেই খালেদা জিয়ার খবর জানতে চায়, কেমন আছে ফজলুর প্রিয় নেত্রী বেগম জিয়া নামের মানুষটি। রীতিমতো বিএনপি’র জন্য সব সময় কাঁদে তার মন । এমন কথা বলে যে কেউ বুঝতে পারবে তার মনের কথা। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হলো ফজলুর রহমান একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। দুই ছেলে একজন মাদ্রাসাতে অন্যজন স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনা করে। প্রতিমাসে একজনের জন্য ৮ শত আরেক জনকে ১৫ শত টাকা দিতে হয়। আয়ের উৎস ইটভাটা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আলির ভাটাতে কাজ করে আড়াইশ টাকা পান। এতে করে চলে তার সংসার জীবন। তার সাথে দেখা হলে হাজারও অভিযোগ নিয়ে বলেন, এমপি জাহেদুর রহমান আমাকে ৭ বছর ৩ মাস পর জুতা পরিয়ে দিয়েছিলেন। আমার দো’য়া ছিল সে কারেনই সে এমপি নির্বাচিত হয়েছে। এর পর জুতা পরেছিলাম। ক্ষমতায় গেলে সবাই ভুলে যান। কিন্তু আমার প্রিয় মানুষ মির্জা আলমগীর স্যার আমাকে ভুলেন নাই। তিনি আমাকে খুব ভালবাসেন। অভিমানে ফজলু বলেন, ” আমার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জমিরুর কোন সহযোগিতা করেননা আর এমপি সাহেব রাখেন না এ অধমের কোন খোঁজখবরও ! কোন সহযোগিতা পাচ্ছিনা বিএনপি প্রতিনিধিদের কাছেও , একদিকে সংসারে টানটান সময় অতিবাহিত করছেন বলেও জানান তিনি ।
আজকালের কন্ঠ /সফিকুল /মিজান
আপনার মতামত লিখুন :