মিজানুর রহমান :: তফসিল ঘোষণা না হলেও পটুয়াখালীর -৪ আসনের কলাপারা উপজেলায়. ইউনিয়নে গ্রাম মহাল্লায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। কে হচ্ছেন প্রার্থী, তা নিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার জন্য ভোটাররাও বেশ উৎসাহী। এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় শুভেচ্ছা বিনিময় ও দোয়া প্রার্থনা করছেন।
মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মাঠে রয়েছেন। তবে নির্বাচনে নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন মোঃ ইসমাইল তালুকদারের পুত্র মেধাবী, তরুন এবং পরিশ্রমী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব মোঃ হাবিবুর রহমান তালুকদার । তিনি আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেকে জানান দিতে মাঠে নেমেছেন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার , বালিয়াতলি, লালুয়া , টিয়াখালি ,ধানখালি, চপ্পাপুর , লতাচাপলি ,ধুলাসার ,চাকামইয়া ও কুয়াকাটা এলাকাবাসীর কাছে ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে দলমত নির্বিশেষে ব্যাপক পরিচিতি মুখ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব মোঃ হাবিবুর রহমান তালুকদার । ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব মোঃ হাবিবুর রহমান তালুকদার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে পদার্পণ কলাপাড়া উপজেলার জনগনের আশা আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন পূরণে পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা করছেন।
বিগত দিনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব মোঃ হাবিবুর রহমান তালুকদার গ্রাম মহাল্লার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, নগদ অর্থ সহায়তাসহ নানাবিধ কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন তিনি। এছাড়া স্থানীয় মসজিদ, মন্দির, ক্লাবে সহযোগিতা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত যোগদান করে যাচ্ছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব মোঃ হাবিবুর রহমান আজকালের কন্ঠ কে বলেন, আমার পিতা মরহুম একেএম ইসমাইল তালুকদার কলাপাড়া থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং স্বাধীনতা পরবর্তিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
সম্পদশালী পিতার সন্তান হয়েও ভোগ বিলাশের জীবন বর্জন করে তিনি কলাপাড়া থানা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করে আমৃত্যু মানুষের সেবা করেছেন। নিজ আদর্শ বিসর্জন না দিয়ে, জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের প্রতিষ্ঠিত দলে যোগ দিতে অস্বীকার করায় ১৯৭৮ সালে আমার বাবা কে এক মাসের জন্য ডিটেনশনে রাখা হয়। জেলের অভ্যন্তরে এসময়ে তিনি স্ট্রোক করে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ১১ বছর বিছানায় করুন জীবন-যাপন করে ১৯৮৯ সালে মৃত্যু বরণ করেন।এরপর ১০ বছর আমার পরিবার রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলো।
তিনি আরো বলেন, আমি এসময়ে ১৯৭৯ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেই এবং দীর্ঘ ৩৬ বছর সেনাবাহিনীর সদস্য হিসাবে দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি ডাইরেক্টর এসএসএফ ও ডাইরেক্টর এনএসআই হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব সহ দেশ-বিদেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছি।
২০১৫ সালে আমি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে অবসর গ্রহন করি। সক্রিয় চাকুরী জীবনের শেষ দিন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংসদ ভবনে দেখা করতে গেলে তিনি আমাকে বলেন, “আমি তোমাকে ফ্রি করে দিয়েছি যাতে এখানে তুমি বার বার আসতে পারো”। এরপর তিনি আমাকে কিছু নির্দেশনা দেন। সেমতে, আমি বর্তমানে আমার এলাকার জনগনের কল্যানে কাজ করছি।
দীর্ঘ ৩৬ বছর রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রপ্রধান/সরকার প্রধানদের নিরাপত্তার গুরু দায়িত্ব পালন শেষে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জীবনের বাকী সময়টুকু আমার আদর্শবান পিতার মতই আমি আমার নিজ এলাকার মানুষদের সেবায় আত্মনিয়োগ করবো। এই দায়িত্ব পালনকে আমি আমার স্রষ্টার এবাদতের অংশ মনে করি। আমি বিশ্বাস করি, মহান আল্লাহর বান্দাদের সেবার মাধ্যমেই আমার পক্ষে মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টি এবং আমার জীবনের সার্থকতা অর্জন সম্ভব।
তিনি বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের সারথিতে কলাপাড়া উপজেলা এগিয়ে নিতে, শোষণ-বৈষম্যহীন, বাসযোগ্য, সুখী-সমৃদ্ধ ও মাদকমুক্ত শিক্ষিত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই।
আমি কলাপাড়া-রাংগাবালী উপজেলার জনসাধারণের কাছে দোয়া চাই, যদি আমার দ্বারা জনগনের প্রকৃত কল্যান সাধিত হয় তবেই যেনো মহান আল্লাহ পাক আমাকে জনগনের সেবার সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান করেন।
আজকালের কন্ঠ /এম