আজকালের কন্ঠ ডেস্ক : ঐতিহ্যবাহী বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরী পুনরায় চালুর দাবীতে ‘উন্মুক্ত বই পাঠের আসর’ কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। বরিশাল সচেতন নাগরিক’র ব্যানারে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) নগরীর বিবির পুকুর পারে এ কর্মসুচীতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।
বক্তারা আগামী ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নিজস্ব ভবনে লাইব্রেরীটি পাঠকের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবী জানান। পরে বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরী এডহক কমিটির সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
‘উন্মুক্ত বই পাঠের আসর’ কর্মসুচীতে উপস্থিত সমাজসেবক নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি এই পাবলিক লাইব্রেরীতে নিয়মিত আসতেন। লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীদের ভীরে গমগম করতো লাইব্রেরীটি। এটি স্থানান্তর করা গনবিরোধী কাজ। সবুজ আন্দোলনের সংগঠক কাজী মিজানুর রহমান ফিরোজ বলেন, লাইব্রেরীর সাধারন সদস্য হিসেবে বই পড়ার জায়গা না থাকায় প্রতিবাদ জানিয়ে তারা লাইব্রেরীর পিছনে বিবির পুকুরের পাড়ে উন্মুক্ত স্থানে বই পড়েছেন। স্বাধীনতার পুর্বে যাদের জন্ম তারা এখানে বই পড়তেন। তাদের দাবী বিবির পুকুর পাড়ের পাবলিক লাইব্রেরী আগামী ২১ ফেব্রয়ারীর মধ্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হোক।
বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরী এডহক কমিটির সম্পত্তি রক্ষনাবেক্ষন উপ কমিটির সদস্য কাজী এনায়েত হেসেন শিবলু বলেন, ১৮৫৪ সালে নিজস্ব সম্পত্তিতে এই পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৫ সালে একটি গোষ্ঠী দুরভিসন্ধিমুলকভাবে লাইব্রেরীটি বান্দরোডে স্থানাস্তর করে। কিন্তু সেখানে কেউ বই পড়তে যান না। লাইব্রেরীর প্রায় ৩০ হাজার বই সংরক্ষনের অভাবে নস্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ১৪.৬৮ শতাংশ নিজস্ব সম্পত্তি লাইব্রেরীর সভাপতি জেলা প্রশাসক র্দীঘদিন ধরে ভাড়া দিয়ে আসছেন।
তাদের দাবী পাবলিক লাইব্রেরীর মুল ঠিকানায় এটিকে আবার চালু করতে হবে। পরে পাবলিক লাইব্রেরীর সদস্যরা বরিশাল জেলা প্রশাসক ও পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি শহীদুল ইসলামের কাছে লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করে লাইব্রেরীটি অনতিবিলম্বে চালুর দাবী জানান। এসময় সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম মনি, সমাজসেবক আমিনুল ইসলাম খান বুলবুল, অধ্যক্ষ মোতালেব হাওলাদার, দেওয়ান ফখরুল আলম, নজরুল ইসলাম, এ কে আজাদ, অঞ্জলী রানী, মোস্তাফিজুর রহমান, কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু উপস্থিত ছিলেন।