চলতি মৌসুমে আমের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা

নিউজটি শেয়ার করুন

সম্পাদকীয় : চলতি মৌসুমে আমের ফলন ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা। ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলার আম বাজারে এসেছে। দেশে আম চাষের প্রতি চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। আমের অভ্যন্তরীণ বাজার ক্রমবর্ধমান। এটি আশাব্যঞ্জক খবর।

দেশে প্রতিবছর বিভিন্ন জাতের প্রচুর আম উৎপাদিত হলেও আমের রপ্তানিবাজার একেবারেই সীমিত। যথাযথ উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রধান আম রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে আবির্ভূত হতে পারে। সারা দেশে হাজার হাজার চাষি আম চাষে যুক্ত থাকলেও তাদের উৎপাদিত আম রপ্তানির উপযোগী নয়। কারণ রপ্তানির উপযোগী আম বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে চাষ করতে হয়। জানা যায়, আমাদের দেশে আম উৎপাদনে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।

আমকে রপ্তানির উপযোগী করতে হলে রাসায়নিকের ব্যবহার সীমিত করতে হবে। আম রপ্তানির প্রধান বাধাগুলো কী তা কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় রয়েছে। এসব বাধা দূর করতে সরকার পদক্ষেপ নিলে আম চাষের প্রতি চাষিদের আগ্রহ আরও বাড়বে। আম রপ্তানির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেতে হলে আমের নতুন নতুন জাত আবিষ্কারেও মনোযোগী হতে হবে।

রপ্তানির উপযোগী আম পেতে হলে আম বাগানকে সারা বছরই বিশেষ পরিচর্যার আওতায় রাখতে হবে। বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে চাষ করার পর উৎপাদিত আমের নির্বিঘ্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। আমের রপ্তানি বাজার ধরতে হলে মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আম ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে দেরি হলে এর স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যাবে। এসব ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে আশা করা যায়, বিদেশে আমের বাজার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়বে।

দেশে এ পর্যন্ত রপ্তানির উপযোগী আম চাষে যতটা সাফল্য এসেছে, তার সিংহভাগই এসেছে আমচাষি এবং কিছু ব্যক্তির নিজস্ব উদ্যোগে। এর সঙ্গে সরকারের জোরালো সহযোগিতা যুক্ত হলে আশা করা যায়, আম রপ্তানি করে প্রতিবছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে। আম রপ্তানির সব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এটাই প্রত্যাশা।

 

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »